by Sourav Ghosh | Mar 15, 2019 | Exclusive travel guides, Hill Stations, OFFBEAT BENGAL, Weekend Kolkata, বাংলা |
Reading Time: 1...
by Sourav Ghosh | Dec 11, 2018 | Arunachal pradesh, Exclusive travel guides, OFFBEAT INDIA, বাংলা |
Reading Time: 17 minutes অরুণাচলের মেচুকায়…মেম্বাদের দেশে বছর তিনেক আগে এয়ারফোর্সে কর্মরত আমার এক বন্ধুর কাছে প্রথম মেচুকার কথা জানতে পারি। পূর্ব অরুনাচলের ওয়েস্ট কামেং জেলায় ভারত-চিন সীমান্ত ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ২৯ কিমি আগে চারদিকে পাহাড় ঘেরা একটা ভ্যালি, মেচুকা।ভ্যালির মাঝখান দিয়ে ইয়ারগ্যাপ ছু নদী বয়ে গেছে। মেম্বা আর অন্য কিছু আদি উপজাতিদের বাস। শুনলাম সেখানে যাওয়া বেশ ঝামেলার, রাস্তাও দুর্গম। ভেবেছিলাম পরে কখনো রাস্তাঘাট ভাল হলে যাওয়া যাবে। কিন্তু ছবিগুলো দেখে আর গল্প শুনে বেশ দোটানায় পরে গেলাম।যাব কি যাব না! অবশেষে কয়েকমাস আগে ইউটিউবে মেচুকার একটা ভিডিও দেখে মেচুকা অভিযানের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। বিভিন্ন সূত্র থেকে যত বেশি সম্ভব তথ্য নিয়ে পারমিট জোগাড় করে মে মাসের শেষ সপ্তাহে যাত্রা শুরু করলাম।অরুণাচলের ইনারলাইন পারমিটের জন্যে যে কেউ অনলাইনে(http://arunachalilp.com/index.jsp) আবেদন করতে পারেন। কলকাতা থেকে মেচুকা যেতে গেলে এই মুহুর্তে সবথেকে সুবিধাজনক উপায় হল কিছুদিন আগে চালু হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে পাসিঘাট চলে যাওয়া।কিন্তু এই পরিষেবা শুরু হওয়ার আগেই আমি ডিব্রুগড়ের টিকিট কেটে ফেলেছিলাম। সেখান থেকে স্টিমারে ব্রহ্মপুত্র নদ পার করে পাসিঘাট ও আলং হয়ে মেচুকা।আমার পরিচিত একজনের কাছ থেকে ডিব্রুগড় থেকে একটা ইনোভা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। দিনপ্রতি ৪৫০০ টাকা নিয়েছিল।পাসিঘাট থেকে আলো, আলো থেকে মেচুকা লোকাল সুমো সার্ভিস আছে। সকাল ৫টা থেকে ৫:৩০ এর মধ্যে সুমো ছাড়ে। আগের দিন সুমোর সিট রীসার্ভ করতে হয়।পাসিঘাট থেকে আলোর জনপ্রতি ভাড়া ৫০০ টাকা আর আলো থেকে মেচুকার ভাড়া ৬০০ টাকা। তবে নিজেদের ভাড়া গাড়ি সাথে রাখলে কোথাও গিয়ে আশপাশের জায়গাগুলোকেও ভাল করে ঘুরে দেখে নেওয়া যাবে। অরুনাচলের এই অংশে ঘোরার ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে গেলে ও নিজস্ব যোগাযোগ না থাকলে ভাল কোন ট্রাভেল অপারেটরদের সাথে যাওয়াই ঠিক হবে।যদিও এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। II ডিব্রুগড় ও পাসিঘাটের...
by Abhibrata Bhakta | Nov 18, 2018 | Festivals, Weekend Kolkata, বাংলা |
Reading Time: 11 minutes॥ গঙ্গাসাগর ॥ ( Gangasagar ) – পূর্ণেন্দু ফাদিকার আমাদের গ্রামের বাড়ীটা ভারী অদ্ভুদ সুন্দর জায়গায়। তিন জেলার সঙ্গমস্থলে। একদিকে বয়ে চলেছে রূপনারায়ণ নদ তার সাথে এসে মিশেছে দামোদরের শাখা নদী মুন্ডেশ্বরী। এই নদীগুলিই তিন জেলার সীমানা তৈরি করেছে। রূপনারায়ণের এক পাড়ে মেদিনীপুর (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর)। এখানেই কৈজুড়ী গ্রামে আমার বাপ ঠাকুরদার আদি বাড়ী। মুন্ডেশ্বরী যেখানে রূপনারায়ণের সাথে মিশেছে তার উত্তর দিকটা হুগলি জেলার মাড়োখানা ও দক্ষিণ দিকটা হাওড়া জেলার উত্তর ভাটোরা গ্রাম। আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায় হলেও মাঝে মাঝেই গ্রামের বাড়ী বেড়াতে যাই। অনেক ছোট বেলায় – কোনও এক শীত কালের ঘটনা এখনও স্পষ্ট মনে আছে। তখন গঙ্গসাগর মেলা উপলক্ষে হুগলী জেলার তীরে মাড়োখানা থেকে বড় বড় কাঠের পাল তোলা নৌকা সারা মাসের সব রসদ নিয়ে পাড়ি জমাতো গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির মন্দিরে তীর্থ করতে। তখন দেখছিলাম যারা যাচ্ছে তাদের বাড়ির লোকজন অঝোরে কাঁদছে। আমার ছয় বছরের মনটা তখনও সবটা বুঝতে পারতো না। কেন সবাই কাঁদছ? কোথাও বেড়াতে গেলে তো খুব মজার ব্যাপার, তাও এরা কাঁদছে কেন? মাকে জিজ্ঞাসা করতে জানতে পারলাম যে গঙ্গাসাগরের পথ খুবই দুর্গম এবং বিপদসঙ্কুল। অনেক নৌকাই নাকি যাবার পথে বা ফেরার পথে ডুবে যায়। তাই ওরা সব পুণ্য অর্জন করে বাড়ী ফিরবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ছোট্ট মনটা তখনই ছ্যঁক করে উঠেছিল! আরে ঐ নৌকায় তো আমার বড় পিসিই পাড়ী দিচ্ছে। মাকে বলেছিলাম – ‘মা বড় পিসি ফিরবে তো?’ মা বলেছিলো ভগবানকে ডাক। তখনই জেনেছিলাম – ‘সব তীর্থ বারবার …. গঙ্গাসাগর একবার।’ না, কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটে নি। পিসি ভালো ভাবেই ফিরে এসেছিল। পরে পিসি কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম– কেমন বেড়িয়ে এলে? (তখনও আমি তীর্থযাত্রা মানে বেড়ানোই বুঝতাম!) পিসি সস্নেহে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল – বড় হয়ে তুইও যাবি।...
by Abhibrata Bhakta | Nov 15, 2018 | Weekend Kolkata, West Bengal, বাংলা |
Reading Time: 9 minutesলেট লতিফ !! শান্তিনিকেতন ট্যুর!! !! Shantiniketan Tour!! আমরা বাঙালিরা একটু late এ চলি সব বিষয়ে সঙ্গে আমাদের সরকারী যাতায়াত ব্যবস্থাও। একে অন্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ঠিক হয়েছিল আমরা দুই বন্ধু দু দিনের জন্য শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাবো 10 ই নভেম্বর শনিবার। আমার বন্ধু আসবে উলুবেরিয়া থেকে আর আমি একটি বিশেষ কারণে চন্দননগর এসেছি সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু হবে। কথা ছিল যে আমরা দুই বন্ধু ব্যান্ডেল এই মিট করব। আমার বন্ধু উলুবেরিয়া থেকে হাওড়ায় এসে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল গামী লোকাল এ উঠবে আর আমি চন্দননগর থেকে ব্যান্ডেল তিনটে স্টপেজ চলে যাব. রিজার্ভেশন এর কোন গল্প নেই তাই প্ল্যান ছিল 8:40 a.m. এর মাতারা এক্সপ্রেস ধরবো ব্যান্ডেল থেকে। কিন্তু ওই যে আমরা লেট লতিফ। উলুবেরিয়া থেকে যে লোকাল ট্রেনটি আমার বন্ধুর ধরার কথা ছিল সেটা যথারীতি ও মিস করেছে অগত্যা পরে ট্রেনে আসছে, কিন্তু সাউথ ইস্টার্ন এর বিখ্যাত অলিখিত হল্ট স্টেশন টিকিয়াপাড়ার হাওড়ার মাঝখানে, সেখানে ট্রেনটি ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রায় আধঘন্টা পরে হাওড়া স্টেশন পৌঁছায় এবং হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল এ আসার যে ট্রেনটা ধরার কথা ছিল সেটাও মিস হয় তারপরে কাটোয়া লোকাল ধরে সে ব্যান্ডেলে এসে পৌছালো। ততক্ষণে মাতারা এক্সপ্রেস ব্যান্ডেল ছেড়ে চলে গেছে আমরা দুই বন্ধু ব্যান্ডেল এসে বসলাম। শুরু হলো Plan B – ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমান লোকাল এ করে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছে বর্ধমান থেকে কলকাতা হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস ধরবো ঠিক করলাম। ব্যান্ডেল থেকে নটা পাচের বর্ধমান লোকাল এ যাত্রা শুরু হলো পথে যেতে যেতে ট্রেন লেট করা শুরু করলো একটা সময় দাড়িয়েই গেল। এইদিকে আমরা App এ লাইভ ট্রেন স্ট্যাটাস চেক করে চলেছি। এই করে প্রায় সময়ের 20 মিনিট পরে বর্ধমান পৌছালাম। ততক্ষণে কলকাতা হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস এর ছেড়ে চলে গেছে বর্ধমান স্টেশন থেকে। অগত্যা Plan C...
by Abhibrata Bhakta | Oct 2, 2018 | Arunachal pradesh, বাংলা |
Reading Time: 12 minutes শুনছ, এবারে পুজোয় অরুণাচল যাবে? উত্তর এল : গেলেই হয়। আন্দামান থেকে সবে ফ্লাইট রওনা দিয়েছে কলকাতার উদ্দেশ্যে, একটা ট্রিপ শেষ হতে না হতেই আরেকটা ট্রিপের প্ল্যান শুরু হয়ে গেল। এটাই ছিল শুরু। মে (যাত্রা শুরুর চারমাস আগে): টিকিট কাটা হয়ে গেল। জুলাই-আগস্ট: হোটেল বুকিং হয়ে গেল। সেপ্টেম্বর (যাত্রা শুরুর একমাস আগে) : আসাম, অরুণাচল এবং সমগ্র নর্থ বেঙ্গল জুড়ে প্রবল বর্ষণ, ফলস্বরূপ ভয়াবহ বন্যা ও ট্রেন লাইন ভেঙে যাওয়া। সেপ্টেম্বর (যাত্রা শুরুর দশ দিন আগে): সবে মাত্র ট্রেন চলাচল শুরু। আপ-ডাউনে 7-14 ঘন্টা লেট। সেপ্টেম্বর (যাত্রা শুরুর একদিন আগে): ডাউন ট্রেনটা রাইট টাইমে গুয়াহাটি ছাড়লো। আপ ট্রেন এখনো 7ঘন্টা দেরিতে চলছে। সেপ্টেম্বর: সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি, দুপুর দুপুর বৃষ্টি মাথায় নিয়েই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছলাম, বাড়ির সবাই একত্রিত মিলিত হয়ে যথা সময়ে সারাইঘাট এক্সপ্রেস এ চেপে বসলাম। ট্রেন অন টাইম ছাড়লো। সারারাত বৃষ্টির টুপটাপ আর কু ঝিক ঝিক শব্দের কোলাজ শুনতে শুনতে সকালে অন টাইমে গুয়াহাটি পৌঁছলাম। গাড়ি আগে থেকেই বুক করা ছিল,মালপত্র সব সেট করে সোজা রওনা দিলাম ভালুকপঙ এর উদ্দেশ্যে। গুয়াহাটি থেকে তেজপুর হয়ে কালীভোমরা ব্রীজ পেরিয়ে ভালুকপঙ পৌঁছতে হয়, সময় লাগে প্রায় 6-7 ঘন্টা। তেজপুর আসামের সুন্দর একটি শহর। এখানে এয়ারপোর্ট ও আছে। কালীভোমরা ব্রিজের নিচদিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মাপুত্র নদ, যেমনি তার রূপ,তেমনি কলেবর। এরপর কিছুটা এগিয়েই নামেরি অভয়ারণ্য। আবার বৃষ্টি শুরু হল। জঙ্গলের প্রতিটা পাতা যেন চির যৌবন পেয়েছে, চরাচর যেন সবুজ রং মেখে নিয়েছে, দূরে নীলচে পাহাড়ের কোলে সাদা মেঘ আদর খাচ্ছে। মোহময়ী জিয়াভরলি যেন অষ্টাদশী যুবতী। পৌঁছলাম অরুনাচলের চেকপোস্ট এ। কলকাতা থেকে প্রিন্ট করে আনা ইনার লাইন পারমিট ও পরিচয় পত্র দেখিয়ে অরুনাচলে ঢোকার অনুমতি মিলল। বৃষ্টিটা ধরে এসেছে, আমরা হোটেল এ ঢুকলাম। ঘরের কাঁচের জানালা দিয়ে পাহাড় ও...