Last Updated on
Reading Time: 4 minutesপূর্ব সিকিমের অচিন গাঁ লোসিং (Lossing) এবং রংপোখোলা(Rangpo Khola) নদী- অতনু চক্রবর্ত্তীর কলমে
সিল্ক রুট ভ্রমনের এই পর্বে আমাদের আজকের গন্তব্যস্থল রোলেপখোলা হয়ে লোসিং গ্রাম। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটা গাড়ি নিয়ে দুপুর একটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম রংলি। গাড়িটা রংলি থেকে বামদিকে কিছুটা যেতেই আশেপাশের সবুজ দৃশ্যাবলী চোখে পড়লো। ডানদিকে পাহাড় আর বাঁদিকে সবুজ উপত্যকা রংপোখোলা, মাঝখানে ঝকঝকে রাস্তা দিয়ে গাড়ি ছুটে চলল। দুপাশে অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যাবলী,খানিক দূর অন্তর ছবির মতো ততোধিক সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। নীচে রুপোলী রেখার মতো চোখে পড়ল একটি পাহাড়ি নদী, সেই জন্যই দুটি পাহাড়ের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে গভীর নদীখাদ।
বেশ কয়েকটা বাঁক ঘুরে আরও কিছুটা যাবার পরে চোখে পড়ল একটি ঝুলন্ত পুরানো সেতু আর তার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে উদ্দাম রোলেপখোলা নদী। পুরানো সেতুর ঠিক পাশেই একটা পাকা সেতুও দেখতে পেলাম। নদীটি যেন পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে। সে এক অনির্বচনীয় দৃশ্য। প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য্যের ডালি সাজিয়ে রেখেছে আমাদের উপভোগ করার জন্য। খরস্রোতা নদীটি বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে রীতিমত গর্জন করতে করতে নিচে নেমে আসছে।
ফটো তোলা শেষ করে গাড়ি ফিরতি পথে এগিয়ে গেল বুদ্ধ জলপ্রপাতের (Buddha Falls) দিকে।গাড়ি থেকে নেমে পাহাড়ি রাস্তায় কিছুটা হেঁটে নামতে হয়, ঝরনার কাছে পৌঁছাতে হলে। খুব সাবধানে আস্তে আস্তে হেঁটে আমরা ঝরনার কাছে গেলাম। ওপর থেকে সশব্দে নেমে আসছে সাদা জলের ধারা। পাহাড়ি পথে ধাক্কা খেতে খেতে বয়ে চলেছে ঝরনার জলরাশি। এদিকে দুটো বাজে, পেট খিদেয় চুঁইচুঁই করছে তাই আর দেরি না করে এগিয়ে গেলাম লোসিংয়ের উদ্দেশ্যে। আসা যাবার পথে অনেক পাখী উড়ে যেতে দেখলাম। অবশেষে ক্লান্ত শরীরে প্রায় পৌনে তিনটের সময় পৌঁছয়ে গেলাম রংপোখোলার (River Valley Home Stay) হোমস্টেটে।
হাতে গোনা দুটি হোমস্টে নিয়ে গড়ে উঠেছে গ্রামীণ পর্যটনের এই নতুন ঠিকানা রংপোখোলা। হোমস্টের ঠিক সামনে দিয়েই বয়ে চলেছে রংপোখোলা নদী, দুপাশে পাহাড়, অপূর্ব মায়াবী পরিবেশ। তাই আর দেরি না করে স্নান, খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ করে বেরিয়ে পড়লাম হেঁটে চারপাশ দেখতে। এখানে নদীটি খরস্রোতা কিন্তু রোলেপখোলার মতো ভয়ংকর নয়। হোমস্টের আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করতেই চোখে পড়ল পাখীদের হুটোপাটি। পাহাড়ের ধাপে ধাপে স্থানীয় মানুষেরা চাষ করেছেন তাই সেখানেই খাবার সংগ্রহে আসছে পাখিরা। চারদিকে পাখীদের কলকাকলি, বিভিন্ন রঙয়ের প্রজাপ্রতি আর রংপোখোলা নদী দেখেই সময় হুস করে কেটে গেল।
হাসিখুশি পাহাড়ি মানুষ, পাহাড়, নদী, রং বেরঙের পাখী আর প্রজাপ্রতি এবং সর্বোপরি নির্জনতা এই নিয়েই রংপোখোলা। এছাড়া হোমস্টের আতিথেয়তা অনেকদিন মনে থাকবে।
বেড়ানোর আদর্শ সময়ঃ বর্ষাকাল বাদে যেকোন সময়। কিন্তু বর্ষাকালে রংপোখোলার একটা অনন্য আকর্ষণ আছে। ছোট্ট ছুটিতে দু–তিন দিনের জন্য প্রকৃতির আশ্রয়ে থাকতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন রংপোখোলা।
কীভাবে যাবেনঃ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ীতে রংপোখোলা ১২০ কিলোমিটার, সময় লাগবে ৪–৫ ঘণ্টা।
আসুন পরিচয় করিয়ে দেই অতনু চক্রবর্ত্তীর সাথে। একজন নিখুঁত ভ্রমনপ্রেমী অতনু বাবুর নেশাই হল বিভিন্ন অফবিট জায়গা ঘুরে বেড়ানো।
Nice captured r sathe darun lekha Atanu da.
Er sathe rolep ta o ghure nite paren
Ba lingsey.
Amader sathe 2yrs.&6yrs. Child ache amra ki December e jete pari…pls. janaben
Me too is a frequenter in offbeat places and prefer homestay. Can we make a small group of like-minded people ?
We also visit offbeat place. Lasr yr we went to selep village a home stay near to ravangla
I was stay here…. Very nice place… Thanku for the pictures
New destination very nice place.