by Abhibrata Bhakta | Dec 18, 2018 | Weekend Kolkata, West Bengal, wildlife, বাংলা |
Reading Time: 8 minutesChupi Chor Purbasthali : A paradise for bird watcher চুপি চুপি “চুপির চর” “এ মন ব্যাকুল যখন তখন” …. কি করা ??? … ব্যাকুল মনকে তো শান্ত করার কোন উপায় চাই ……. তাই সিন্থিয়া আর আমি চুপি চুপি কেটে পড়লাম …. কাটোয়া লোকালে টিকিট কেটে উঠে পড়লাম … ট্রেন ফাঁকাই ছিল … জানলার ধারে বসার সিটও পেয়ে গেলাম …. ব্যাস আর পায় কে …. “আজ আবার মোরা ভবঘুরে ” …. দুই বান্ধবী মিলে পাড়ি অজানার উদ্দেশ্যে ….. ট্রেন মিনিট দশেক দেরী করে ছাড়লেও কোন অসুবিধা হলো না …. এরপর ট্রেনে ঝালমুড়ি, শশা, মটর, চা, বাড়ি থেকে আনা কেক খেতে খেতে আর জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে ১১টা ১০ এ পৌঁছে গেলাম পূর্বস্থলী … ৩ নং প্লাটফর্মে ট্রেন আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল …. স্টেশন চত্তর বেশ বড় । ফ্লাই ওভারের ব্রীজ দিয়ে উপরে উঠে ১ নং প্লাটফর্মের দিকে এসে বাইরে বেরোলাম …. স্টেশনের বাইরে বেশ ফুলগাছ দিয়ে সাজানো …. বাইরে গাছতলায় অনেক টোটো দাঁড়িয়ে … চড়ে বসলাম একটায় … তার আগে অবশ্য একটু আখের রস খেয়ে নিলাম … মিনিট ২৫ এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম আমাদের আস্তানায় …. “চুপি কাষ্ঠস্থালী পাখিরালয় কটেজ” …. ঢুকেই মন ভরে গেল … বিশাল জায়গা নিয়ে বাগান করা …সুন্দর করে সাজানো…. তার সামনেই সেই ঝিল … যেখানে শীতে পরিযায়ী পাখীরা এসে একে অনিন্দ্যসুন্দর করে তোলে … সেই “চুপির চর” …. স্থানীয় লোক একে অবশ্য খাড়ি গঙ্গা বলে । এরপর আমাদের ঘরে গিয়ে দেখি এসি আগে থেকেই চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে রাখা হয়েছে … ঘর পরিষ্কার… ছিমছাম … রট আয়রনের খাট ধবধবে সাদা চাদর পাতা, সোফা কাম বেড, দুটি সুন্দর পাটের দড়ি দিয়ে তৈরি টুল, ছোট একটি আলমারী, টি টেবিল, টি ভি...
by Sourav Ghosh | Nov 20, 2018 | Adventure, Weekend Kolkata, wildlife, বাংলা |
Reading Time: 4 minutesতিন দিনে কাজিরাঙ্গা আসুন দেখে নেওয়া যাক তিন দিনের কাজিরাঙ্গা ভ্রমণের একটা সফরসূচি। ভ্রমনসঙ্গী ছিল ৬ জন। কাজীরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের চারটি রেঞ্জ a) Kahora b) Western c) Eastern d) Burapahar সবথেকে ভালো যদি Kahora আর Western রেঞ্জ ঘোরা যায় । সামনে থেকে ওয়াইল্ড লাইফ উপভোগ করা যাবে । কিভাবে যাবেন : প্রথমে হাওড়া থেকে ট্রেনে গুয়াহাটি চলে আসুন। গুয়াহাটি স্টেশনে নেমে পল্টনবাজারে চলে আসুন আর কাউন্টার থেকে কাজিরাঙ্গার টিকিট কাটুন। গুয়াহাটি থেকে সরাসরি কোনো বাস নেই, খানাপাড়া থেকে বাস ধরতে হয়। গুয়াহাটি থেকে খানাপাড়া মাত্র ৯ কিমি। পল্টনবাজারে টিকিট কেটে অপেক্ষা করুন। ওরাই আপনাকে বাসে খানাপাড়া পৌঁছে দেবে। হাওড়া থেকে গুয়াহাটি ট্রেনে স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ৫০০ টাকা। গুয়াহাটি থেকে কাজিরাঙ্গার এসি ভলভো বাসে ভাড়া ৩৭০ টাকা। কোথায় থাকবেন : কাজীরাঙ্গা তে অনেক প্রাইভেট হোটেল আছে কিন্তু ভালো হবে যদি সরকারি হোটেল নেন। অনেকটা বনবাংলো এর মতো। পরিস্কার ও বড় রুম। সবকটা রুম ইংরেজ আমলের। সবথেকে যেটা ভালো লাগবে সেটা হলো বনানীর ম্যানেজার কমলেস্বর বাবুর অমায়িক ব্যবহার। VIP দের জন্য আছে অরন্য গেস্ট হাউস। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বনানীর থেকে বনশ্রীতে থাকুন। বনশ্রীতে একটা অ্যাডভেঞ্চার গন্ধ আছে যেটা বনানীর নুতুন দেওয়ালে নেই। আর বনশ্রীর উল্টো দিকে আছে জঙ্গলে ঢাকা ঝরনা। গুয়াহাটি থেকে বাসে উঠে ড্রাইভার কে বলে দেবেন বনানীতে নামবো। হাইরোড থেকে নেমে 500 মিটার চা বাগানের মধ্য দিয়ে হেঁটে হোটেল বনানী। বনানী হোটেলের ভাড়া ৮০০ টাকা পার ডে আর বনশ্রী হোটেলের ভাড়া ৬০০ টাকা পার ডে। বনানী বা বনশ্রী হোটেল বুক করতে চাইলে কমলেশ্বর বাবুর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। নম্বরটি হলো: 8638802825 এছাড়া আসাম ট্যুরিজমের এই ওয়েবসাইটটিও দেখতে পারেন : http://www.assamtourismonline.com/properties.html ভ্রমনসূচি : প্রথম দিন : কাজিরাঙ্গা পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়ুন লোকাল সাইটসিন দেখতে।...
by Sourav Ghosh | Nov 16, 2018 | Adventure, Hill Stations, OFFBEAT BENGAL, OFFBEAT INDIA, wildlife, বাংলা |
Reading Time: 6 minutesট্রেকের তৃতীয় দিন আলুবাড়ি ক্যাম্পে ভোর এলো একেবারে আগল আলগা করে। ট্রেক এ সাধারণত রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়াই দস্তুর, এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি। ভোররাত থেকে জেগে স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে শুয়ে, কাঠেরবাড়ির ফাঁকফোঁকর দিয়ে যখন আলোর আবছা অস্তিত্ব ঘরের মধ্যে টের পেলাম, উঠে পড়লাম। বেরোলাম বাইরে, অল্প আলোয় তীব্র ঠান্ডায় জড়োসড়ো নেওড়াভ্যালি; এই ক্যাম্প থেকে নিচের ঢালে অন্ধকার জঙ্গলের গায়ে মাথায় আলোর ছোঁয়া, শিরশির করা এক ঠান্ডায় যেন আস্তে আস্তে ঘুম ভাঙছে পৃথিবীর, ডানা খুলে দিয়ে সব রূপ রস গন্ধ মেলে ধরছে সকালের নরম আলোয়। নির্বাক এক সময়ের সাক্ষী আমি, পাখিরা আস্তে আস্তে জাগছে, দূরে কোথায় একটানা কিচিরমিচির, বেশ একটা উৎসব উৎসব আমেজ জঙ্গলের শরীর জুড়ে। আলো খেলা করছে নিচে নদীতে, পাশের ঘন ঝোপে, নিচের হলুদ সবুজ বনে, ফুলে ফলে পাতায় পাতায়। শিশির ভেজা বারান্দায় বসে আছি, চা এলো মনের খবর নিতে; এলো বাকি বন্ধুরাও, কোনো কথা নেই, চুপচাপ চায়ে আর সোনাঝরা সকালের জঙ্গলে একসাথে চুমুক দিচ্ছি। ভোরের জঙ্গলের রূপে যখন মাতালপ্রায়, জোসেফ পাখির সালতামামি শুরু করলো, নেশা গেলো চটকে। তখন ভালো লাগছিলোনা এতো পড়াশুনা, একটু দূরে এগিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম, পাখিও দেখলাম, নাম জিজ্ঞেস করিনি, ভালো আছো কিনা শুধু এটুকুই ছিল জিজ্ঞাস্য; এপাশ ওপাশ ঘুরে আবার তরতাজা হয়ে ফিরলাম গোছগাছ শুরু করতে। গোছগাছ করে একেবারে জলখাবার খেয়ে আজকের দিনের জন্য রেডি; আজ হাঁটবো রাচেলা পাস বা রাচেলা দাঁড়া হয়ে রুখা ক্যাম্প। জোসেফের মুখে শুনলাম আজ জঙ্গল আরো ঘন, এবং চড়াই ও আছে খানিক। শুরু হলো হাঁটা, গাছের চরিত্র ও আস্তে আস্তে পাল্টাতে শুরু করলো, শাল, ওকের জায়গা নিলো বাঁশ, রডোডেনড্রন। ঘন জঙ্গল, নিরবিচ্ছিন্ন অন্ধকার মাঝে মাঝে, উচ্চতাও বাড়ছে অল্প অল্প করে, আকাশ পরিষ্কার, কিন্তু জঙ্গল ভেদ করে রোদ্দুর আসছেনা, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব সব জায়গায়। ঘন্টাখানেক হাঁটার পর একটু...
by Abhibrata Bhakta | Nov 11, 2018 | Adventure, West Bengal, wildlife, বাংলা |
Reading Time: 10 minutesHolong Tourist Lodge Travel Guide : Jaldapara, Dooars হলঙ বাংলোতে নিশিযাপন : – পাহাড় সমুদ্র মিলিয়ে বেশ কিছু জায়গা বেরিয়ে আসা হলেও উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গলে আগে কখনো ঘোরা হয়ে উঠেনি । কোনো এককালে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শ্যালককে বলেছিলাম সেকথা । ও আগে ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘুরে গেছে । আমি হলঙে থাকার কথা তুলতে সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিলো কথাটা । এরপর যতবারই তার সঙ্গে দেখা হয় ততবারি এক কথা “কিগো তোমার হলঙের কি হলো ? ” । মাথায় মধ্যে তাই সবসময় হলঙ ঘুরছিল । আগে শুনেছিলাম যে হলঙ ছয় মাস আগে বুকিং করতে হয় । কিন্তু পুজোর কিছুদিন আগে wbtdcl.com e দেখি ঠিক একমাস আগে বুকিং করা যাচ্ছে ।আর দেরি না করে দুইরাত্রির জন্য হলঙ লজে একটা রুম বুকিং করে ফেললাম । আমি ,গিন্নি,শ্যালক । করে তো ফেললাম কিন্তু যাবো কি করে । লক্ষী পুজোর পরপরই বুকিং । সব ট্রেন ভর্তি প্রায় । শেষে কলকাতা হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি গিয়ে সেখান থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছে হোটেলে রাত্রিবাস । পরের দিন ভোর 6:10 র শিলিগুড়ি – ধুবরি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে হাসিমারার উদ্দেশে রওনা হলাম । ট্রেনে বামদিকে জানলার ধারে বসে প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতে চললাম । নিউ মাল স্টেশন ঢোকার আগে পাহাড়ের খাঁজে কাঞ্চনজঙ্ঘা কিছুক্ষনের জন্য দেখা দিয়ে গেল । হাসিমারা পৌঁছে একটা গাড়ি 500 টাকাতে বুক করে হলঙের উদ্যেশে বেরিয়ে পড়লাম । জলদাপাড়া অভয়ারণ্য ঢোকার গেটে বুকিং স্লিপ দেখিয়ে ছাড়পত্র পেলাম ভিতরে ঢোকার । গেটে ফরেস্ট গার্ড বলে দিলেন যে আজকে দুপুরের লাঞ্চ বাইরে থেকে করতে হবে । তাই গেটের বাইরে একটা হোটেল থেকে তিনজনের চিকেন মিল প্যাক করে ভিতরে ঢুকলাম । যখন হলঙে পৌছলাম তখন 10:30 টা বাজে । ম্যানেজার সাহেব বললেন যে ওদের সব থেকে ভালো রুমটি...
by Sourav Ghosh | Oct 23, 2018 | Adventure, OFFBEAT INDIA, Rajasthan, wildlife, বাংলা |
Reading Time: 8 minutesরাজস্থান বলতেই মনে পড়ে কেল্লা, বালি, পাথর আর মরুভূমির কথা। কিন্তু জঙ্গল, বন্যপ্রাণ ও পক্ষীকুলের সম্ভার নিয়ে আরেকটা সবুজ অংশও রয়েছে এই বৈচিত্রময় রাজ্যে। ‘রেগিস্তান’এর ছবির আড়ালে পূর্ব রাজস্থানে রয়েছে তিনটি অনন্য অভয়ারণ্য – সরিস্কা, রনথম্ভোর ও ভরতপুর। কলকাতা থেকে ৮-১০ দিনের রাজস্থানের ট্যুর প্যাকেজে গিয়ে সাধারণত যা দেখা হয় না অধিকাংশ পর্যটকেরই। “Maati Baandhe Painjanee../Bhangd Pehne Baadli../ Dedo Dedo Baavdo../ Ghod Mathod Bhavdi…” চেনা চেনা ঠেকছে গানের লাইনগুলো? এটা রাজস্থান ট্যুরিজমের বিজ্ঞাপনের সেই সরকারি থিম সং। সেই বিজ্ঞাপনে একেক জন রাজস্থানকে দেখে একেকরকম ভাবে। এতই বৈচিত্রে ভরা রাজস্থান। মনমাতানো রাজস্থানী ফোক গানটির সাথে একাত্ম হয়েই আজ দেখে নেওয়া যাক পাখিদের স্বর্গরাজ্য ভরতপুরকে। ‘কেওলাদেও ঘানা ন্যাশনাল পার্ক’। পূর্ব রাজস্থানে ভরতপুর শহরের কিনারে অবস্থিত এই অভয়ারণ্য বেশি পরিচিত ‘ভরতপুর বার্ড স্যাঙ্কচুয়ারি’ নামে। ভারতের বৃহত্তম পাখিরালয়। নভেম্বর থেকে মার্চ যা হয়ে ওঠে পাখি দেখার স্বর্গরাজ্য। দিল্লি থেকে দূরত্ব ১৮২ কিমি। আগ্রা – জয়পুর জাতীয় সড়কের পাশেই পাখিরালয়ের প্রবেশদ্বার। যা আগ্রা থেকে ৫৫ কিমি ও জয়পুর থেকে ১৭২ কিমি। ২৯ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই অভয়ারণ্যে গড়ে উঠেছে পাখিরালয়। ১৯৮১ তে জাতীয় উদ্যানের শিরোপা পায় এই পাখিরালয়। মূলতঃ শুষ্ক পর্ণমোচী বৃক্ষ, ঝোপঝাড়, জলাভূমি ও ঘাসের জঙ্গল – এই নিয়ে অভয়ারণ্য। স্টর্ক, হেরন, বিল, ডাস্ক, কর্মোরান্ট, স্যান্ডপাইপার সহ প্রায় ৩৬০ রকম প্রজাতির পাখির দেখা মেলে ভরতপুরে। এর মধ্যে একটা বড় অংশই পরিযায়ি পাখি বা মাইগ্রেটরি বার্ড। শীতের মরসুমে পাড়ি জমায় পৃথিবীর নানা দেশ থেকে। পাখি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে কিছু হরিণ, নীলগাই, সম্বর, বুনো শুয়োর ও নানা প্রজাতির সাপ। কদম, বাবুল, জাম এ জঙ্গলের উল্লেখযোগ্য গাছ। এছাড়াও রয়েছে বেড়, কয়ের ও কুশ ঘাসের জঙ্গল। ভরতপুরে সূর্যাস্তের সময়। ছবি সৌজন্য : শ্রী সুজিত নন্দী “পাখ-পাখালির গান শুনিগে চল/ ঝর্ণা ধারার মত...
by Sourav Ghosh | Oct 5, 2018 | Adventure, OFFBEAT INDIA, wildlife |
Reading Time: 6 minutesMystic Amboli Amboli is a rain forest, and a popular honeymoon destination in Maharashtra for its beautiful waterfalls and lush green forest and wide mountain range of Western Ghat. But it is also a treasure trove of flora and fauna. Amboli is still an uncharted territory and new classification of flora and fauna are still being discovered. There are around 800 types of butterflies, numerous snakes, frogs, insects, orchids etc in this region and many of them are endemic to this region. There are also different types of birds like Oriental Dwarf Kingfisher, Cylon Frogmouth, Malabar whistling Thrush, Yellow-browed bulbul, White-rumped Shama, Black Eagle etc are found in abundance. But, it’s not easy to photograph them due to thick forest. Ideal time to visit: We went there specifically for reptile and amphibian photography. The best time to visit for the same is during June-Sept. For birding, the season starts from November. How to Reach: Amboli is a mountain range of Western Ghat. You need to cross it while going from Maharashtra to Goa. It’s around 350km from Pune, and 100km from Goa and 80km from Belgum. The nearest train station is Sawantbari, which is around 60km far. Accomodation: Most of the hotels are near the bus stand and the costs range from Rs. 800-1500. There’s a couple hotel/resorts are bit inside the jungle and in excellent location. One of them is Whistling Woods run by Mr. Hemant Ogale and it is just beside the MTDC resort. In Whistling Woods, a regular room costs Rs. 2400 a day, and Rs. 1800 for single occupancy. AC room costs...