Eco Park Kolkata tour guide
ইকোপার্ক (কলকাতা) ভ্রমণের সম্পূর্ণ গাইড
–পূর্ণেন্দু ফাদিকার
যারা কলকাতার কাছাকাছি একদিন পিকনিক বা ডে আউট করতে চান তাদের জন্য ইকো পার্ক একবারে আদর্শ স্থান। এমন কি চাইলে আপনি ইকো পার্কের লেকের দ্বীপের ভিতরে থ্রি স্টার হোটেল ‘একান্তে কটেজ’ –এ কয়েকটা দিন বিলাসবহুল দিনযাপন করতে পারেন। মনে রাখবেন সাধারণের জন্য ইকো পার্কে এন্ট্রি পার্ক প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে।
= ইকো পার্কের অবস্থান কোথায়? =
নিউ টাউনে অবস্থিত ইকো পার্ক। সরকারি নাম প্রকৃতি তীর্থ। এটি রাজারহাট নিউ টাউন অ্যাকশন -II এরিয়ার মেজর আর্টারিয়াল রোডের পাশে অবস্থিত। Coordinates Latitude: 22°35′56″N Longitude 88°28′01″E. কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৯ কিমি দূরে এবং হাওড়া বা এসপ্ল্যানেড থেকে প্রায় ২২ কিমি দূরে অবস্থিত।
= ইকো পার্ক কি ভাবে যাবেন ? =
সবথেকে ভালো নিজেদের গাড়িতে বা কোনও ক্যাব (ওলা, উবের) বা ট্যাক্সি করে সরাসরি ইকো পার্কে পৌঁছে যাওয়া। আমি আমার বাড়ি থেকে শেষবার (গত সপ্তাহে) হলুদ ট্যাক্সি করে গিয়েছিলাম বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। মিটার উঠেছিলো ২৩০টাকা। উবেরে ৩৭০ টাকা দেখাচ্ছিল।
ইকো পার্কের জন্য কিছু বাস রুটের সন্ধান
১) S-44 বাস নবান্ন থেকে ছেড়ে সরাসরি ইকো পার্ক যায়। রুটটা এইরকম [ Nabanna – Rabindra Sadan – Esplanade – Sealdah – Raja Bazar – Manicktala – Khanna – Ultadanga – Hudco – PNB – College More – Karunamoyee – New Town (Sector-V) – Eco Park ]
২) ডানকুনি হাউসিং এস্টেট বা বালি হল্ট থেকে D26 সরাসরি Eco Park পার্ক যায়
৩) বালি ঘাট থেকে AC23A বা S23A সরাসরি Eco Park পার্ক যায়
উপরে লিস্টে ২ ও ৩ নং বাসের রুট [ Dakshineswar – Baranagar Station – Prafulla Nagar – Pramod Nagar – Mathkal – Vidyasagar Pally – Dhalai Karkhana – Durganagar Srinagar – Khalisakota – Manikpur – Airport Gate Number 2 – Airport Taxi Stand Gate Number 1 – Kaikhali – Kaikhali Terminus – Haj House – Chinar Park – Nababpur – City Centre 2 – Titumir – Akankha Bus Stop – Eco Park ]
৪. বালি বাজার খেকে AC50 বাসে এয়ার পোর্ট ৩ নম্বর গেটে নেমে যে কোন নিউটাউনগামী বাসে ইকো পার্ক যাওয়া যায়
৫ . এয়ার পোর্ট ১নং গেটের সামনে থেকে এই বাসগুলি ইকো পার্ক যায় – AC 43, AC37A. AC 25, C8A,
উপরের সব বাসগুলিই CSTC এর আরো জানতে যোগাযোগ করতে পারেন 033 2237 9362, 033-2706 4010
৬. হাওড়া স্টেশন থেকে 215 এবং 30B/1 বেসরকারী বাস সরসরি ইকো পার্ক যায়। দমদম স্টেশন থেকেও 30B/1 বাসটি ধরতে পারেন।
৭. হাওড়া স্টেশন থেকে L238 বারাসাত গামী বাসে কৈখালি বা এয়ারপোর্টে নেমে উল্টো দিকে গিয়ে নিউ টাউনগামী বাসে ইকো পার্ক পৌঁছে যাওয়া যায়। যারা উল্টোডাঙ্গা বা বিধান নগর রোড স্টেশনে নামবেন তারা এই L238 বাসটি ধরতে পারেন।
৮. হাওড়া স্টেশন থেকে S12 বাসে বা অন্যান্য যে কোনও জায়গা থেকে বাসে নিউটাউন পৌঁছে ওখান থেকে এয়ারপোর্টগামী যে কোন বাসে ইকো পার্ক যাওয়া যায়।
৯. গড়িয়াহাট মোড় থেকে C8 বাসে (Gariahat More –Barasat Kazipara Bus ) সরাসরি ইকো পার্ক যেতে পারেন।
১০. পার্ক সার্কস ৭ পয়েন্ট থেকে D26 বাসে সরিসরি ইকো পার্ক যেতে পারেন।
১১. AC3 Santragachhi Station – Barasat Kazipara Bus Depot বাসে সরাসরি ইকো পার্কে যাওয়া যায় (CTC বাস আরো বিশদে জানতে যোগাযোগ 86977 33391)
১২. বৈদ্যবাটী থেকে 285 নম্বর নিউটাউন গামী বাস ইকোপার্ক যায়।
১৩. যাদবপুর এইট বি (8B) বাসস্ট্যান্ড থেকে ইকো পার্ক যাবার বাস AC9B পাবেন। মোটামুটি ১ ঘন্টা অন্তর সার্ভিস।
= এই পার্কের বৈশিষ্ট্য ও এই পার্কের জন্মের ইতিহাস =
কলকাতায় শহর তথা ভারতের সবথেকে বড় পার্ক। পৃথিবীর বিখ্যাত পার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম লন্ডনের হাইড পার্কের (350 একর) থেকেও এটা বড় পার্ক। আয়তন 480 একর। এই পার্কের মধ্যে বিশাল এক জলাশয় আছে। জলাশয়ের আয়তন 104 একর। জলাশয়ের মাঝখানে একটি দ্বীপ আছে যেখানে খাবার রেস্তরা ও থাকার হোটেল আছে।
2011 সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই পার্কটি করার পরিকল্পনা করেন ও উদ্যোগ নেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (Hidco) ও অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার সাখে সমন্বয়ের এই পার্ক তৈরির বাস্তবায়ন শেষ হয় 2012 সালের ডিসেম্বর মাসে।পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী 29 ডিসেম্বর 2012 সালে ইকো পার্ক উদ্বোধন করেন। জনগনের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হয় 2013 সালের পয়লা জানুয়ারী থেকে। Pradeep Sachdeva Design Associates (PSDA) নামে এক সংস্থা প্রধাণত পুরো পার্কটির বিভিন্ন নকশা তৈরি করেন।
এরপর 2013 সালের ডিসেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি জিনিস ইকো পার্কের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং সেগুলি ধীরে ধীরে রূপায়ন করা হয়েছে বা হচ্ছে যেমন বিশ্ব বাংলা হাট, বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের জিনিস, শিশুদের জন্য পার্ক, ফ্লোটিং মিউজিক ফাউন্টেন, বাটারফ্লাই গার্ডেন, প্লে এরিয়া, বাঁশের বাগান, ফলমূল এর বাগান, ফুডকোর্ট , আড্ডা জোন, ঘাসের জমি, চা বাগান, মাস্ক গার্ডেন, গ্লাস হাউস, মিষ্টি হাব, অ্যাম্ফিথিয়েটার প্রভৃতি। একই সময়ে ২নং গেটের উল্টোদিকে মোম মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়।
= পার্কের ভিতর ঢোকার টিকিটের দাম কত এবং ঢোকার সময় কি? =
ঢোকার টিকিটের মূল্য 30 টাকা। তবে ভিতরে নানা জিনিসের টিকিট আলাদা আলাদা করে কাটতে হবে।
সময় –
Summer Timings: (1 March to 31 October)
Tuesday to Saturday = 2:30 PM. to 8:30 P.M.
Sunday & Holidays = 12 Noon. to 8:30 P.M.
Winter Timings: (1 November to 28 February)
Tuesday to Saturday = 12 Noon. to 7:30 P.M.
Sunday & Holidays = 11 AM. to 7:30 P.M.
বন্ধ হবার আধঘন্টা আগে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
মনে রাখবেন ইকো পার্ক প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে।
= পার্কের ভিতর কোন গেট দিয়ে ঢুকবেন? =
ইকো পা্র্কে মোট ৬টি গেট আছে। এর মধ্যে এক থেকে চার নম্বর যে কোনও গেট দিয়ে ঢুকতে পারেন। আমার সাজেশান হয় ৪নং গেট থেকে শুরু করুন অথবা ২ নম্বর গেট থেকে। ৪ নং গেটের কাছেই আছে সপ্তম বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের প্রতিরূপ। সেটা দিয়ে শুরু করতে পারেন বা ২ নং গেটে ঢুকে ব্যাটারি চালিত গাড়ি বা টয়ট্রনে পুরো ইকো পার্কটা এক ঝলক ঘুরে দেখে নিতে পারেন। তবে আসল বেড়ানোর মজা নিতে আপনাকে হাঁটতেই হবে।
= গাড়ির পার্কিং =
যারা নিজেদের গাড়ি নিয়ে যাবেন তাদের জন্য ১নং বা ৪ নং গেট দিয়ে ঢোকা ভালো হবে কারণ এই দুটো গেটের কাছেই বাইক ও কার এর পার্কিং আছে।
বাইক পার্কিং ফি – 20 টাকা (সারাদিনের জন্য)
কার পার্কিং ফি – 50 টাকা (সারাদিনের জন্য)
= পার্কের ভিতর কি কি দেখবেন? =
পার্কটি প্রচুর জিনিস আছে। এদিনে সব দেখা প্রায় অসম্ভব। তাও আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করে ঢোকেন তবে সব কিছু দেখতে পারেন। ইকো পার্কের নিজস্ব গাইড ম্যাপে ৩৭টি পয়েন্টের উল্লেখ থাকলেও এটা ছাড়া অনেক খেলার বা বিনোদনের অ্যাক্টিভিটি আছে যেগুলি সব এক দিনে করা অসম্ভব। কিছু জিনিস এর নাম উল্লেখ করলাম। এর বাইরেও অনেক কিছু আছে। সাথে পুরো ইকো পার্ক জুড়েই চোখ জোড়ানো দৃশ্যপট পাবেন।
১) বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের জিনিসের প্রতিরূপ – এখানে ঢোকার জন্য এন্ট্রি ফি ছাড়াও আলাদা করে 30 টাকার মাথা পিছু টিকিট কাটতে হবে। সন্ধ্যের পর আলোতে এই অঞ্চল আরো মায়াময় দেখতে লাগে। এই কম্পাউন্ডে যেগুলি যেখতে পাবেন তা হলো i) Colosseum (Rome), ii) The Great Wall of China (China ), iii) Tajmahal (India), iv) Easter Island Statue (Chile), v) Christ The Redeemer Statue (Rio de Janeiro, Brazil), vi) Petra (Jordan) and vii) Pyramid with The Great Sphinx (Giza, Egypt).
এই অঞ্লটি চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে কাছেই পড়বে।
২) শিশুদের জন্য পার্ক (Children Park) – এইটি সবার জন্যই ফ্রি তবে যে সব রাইড বা অ্যাক্টিভিটি আছে সেখানে ১০ বা ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্ছারা চাপতে পারে। যদিও আমি যতবারই ভিজিট করেছি বাচ্ছাদের সাথে তাদে মা বাবাদেও চাপতে দেখেছি। গার্ডেরা বাঁশি বাজিয়ে সর্তক করে দেন। জায়গাটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের পাশেই। ভিতরে ট্রি হাউসের মত বাড়িঘর বানানো আছে যেখানে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারবে সবাই।
৩) ফুডকোর্ট – চার নং গেটের কাছেই ফুডকোর্ট আছে
৪) বাংলার হাট – ৫ নং গেটের কাছে আছে। বিভিন্ন হস্তশিল্পের জিনিস বিক্রি হয়।
৫) ডিয়ার পার্ক – ৬নং গেটের কাছে।
৬) পাখিবিতান – ৬নং গেটের কাছে।
৭) গল্ফ কোর্স
৮) অ্যাম্ফিথিয়েটার – ছয় নং গেটের কাছে আছে অ্যাম্ফিথিয়েটার এটা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়।
৯) বাটারফ্লাই গার্ডেন – নানা ধরনে প্রজাপতি দেখতে পাবেন
১০) হেলিকোনিয়া গার্ডেন
১১) স্কাপ্লচার গার্ডেন
১২) রেন ফরেস্ট – অ্যামাজন জঙ্গলের মত তৈরি করা হচ্ছে
১৩) ফলমূল এর বাগান
১৪) আড্ডা জোন
১৫) ফোয়ারা
১৬) ঘাসের জমি
১৭) চা বাগান
১৮) মাস্ক গার্ডেন
১৯) বাঁশের বাগান
২০) জোড় বাংলো মন্দির
২১) রোজ গার্ডেন
২২) ফ্লোটিং মিউজিক ফাউন্টেন – লেকের মধ্যে সন্ধ্যে ৬টার পর শুরু হয়
২৩) গ্লাস হাউস – পুরো কাঁচের তৈরি ঘর। প্রায় ১০০ জন মিটিং করতে পারবে। এটা আলাদা করে ভাড়া দেওয়া হয়।
২৪) মিষ্টি হাব – ২ নং ও ৩নং গেটের মাঝে রাস্তার ধারে আছে মিষ্টি হাব। কলকাতার প্রায় সব বিখ্যাত মিষ্টির দোকানের ব্রাঞ্চ এখানে পাবেন। ২৫) ইকো পার্কে ভিতরে না ঢুকে শুধু এখান থেকেই মিষ্টি কিনতে পারবেন সবাই।
২৬) কাফে একান্তে – জলাশয়ের ভিতরে কফি শপ ও রেস্টুরেন্ট
২৭) একান্তে কটেজ – জলাশয়ের থাকার থ্রি স্টার হোটেল। ভাড়া 3499 +tax বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন (033) 2324 6071, (033) 27064057, 8334065345
Online booking
http://ecoparknewtown.com/ecoisland/index.php
২৮) আইফেল টাওয়ার – ১নং গেটের কাছে।
২৯) ইকো রির্সোট – ১নং গেটের কাছে।
৩০) জাপানীস ফরেস্ট – ১নং গেটের কাছে।
৩১) রবি অরণ্য – ১নং গেটের কাছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে বা কবিতায় যে সব গাছের উল্লেখ পাওয়া যায়, সেই সব গাছ এই অঞ্চলে লাগানো হয়েছে। যেমন ছাতিম, বেল, শিমূল প্রভৃতি।
= স্পোর্টস ও রাইডিং অ্যাক্টিভিটি তার দাম কি? =
সরকারী ও বেসরকারী উদ্যগে অনেক অ্যাক্টিভিটি আছে। কয়েকটা উল্লেখ করলাম। আরো আছে । তবে মনে রাখবেন অনেক সময় নানা কারণে কিছু অ্যাক্টিভিটি বন্ধ থাকে। ভাড়া এবং রাইডিং টাইম যে কোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে।
১) ব্যাটারি চালিত গাড়ি – এই গাড়ি মাথা পিছু ভাড়া 100 টাকা। চাপতে চাইলে আপনকে ২নং গেটের কাছে আসতে হবে। এখান থেকে চাপিয়ে ৪নং গেট কাছে শিশুদের পার্কে পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবে। এই গাড়িতে চাপলে অনেকটা অংশ গাড়িতে করেই ইকো পার্ক ঘুরে নিতে পারবেন। একটা গাড়িতে ৮ –১০ জন বসতে পারে। যাদের হাঁটতে অসুবিধা তাদের জন্য এই গাড়ি খুব ভালো।
২) টয়ট্রেন –মাথা পিছু ভাড়া 150 টাকা। একটা গাড়িতে 27 জন বসতে পারে। ইকো পার্ক জুড়ে বেশ কয়েকটা স্টেশন এর মত করা আছে। শেষ স্টেশন ঘুম। যেখানে গেলে আবার চা বাগান দেখতে পাবেন। এই রাইড এর শুরু এবং শেষ ২নং গেট থেকে হয়। টিকিটও ওখানে পাওয়া যায়।
৩) সাইকেলিং (Cycling) – ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া 150 টাকা। সব ধরনের সাইকেল এর টিকিট বাটারফ্লাই গার্ডেন এর সামনে পাওয়া যায়।
৪) দুই প্যাডেল ও দুই সিট সাইকেল (Duo Cycling) – ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া 150 টাকা।
৫) বেবী সাইকেলিং(Baby Cycling) – ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া 50 টাকা।
৬) পাখি দেখা (Bird watching) – 10 টাকা
৭) ই বাইক (Ebyke) – 200 টাকা ২০ মিনিটের জন্য
৮) তিরোন্দাজ – 50 টাকা (5 arrows)
৯) প্রজাপতি দেখা (Butterfly) – 50 টাকা
১০) মাছধরা (Angling) – 1500 টাকা
১১) Rifle Shooting – 50 টাকায় 10 shots
১২) Roller Skates 50 টাকা ৩০ মিনিটের জন্য।
১৩) Family Shikara – 200 টাকা চার জনের জন্য মোট ৩০ মিনিটের জন্য।
১৪) Trampoline – 20 টাকা (15 minutes)
১৫) Bull riding –30 টাকা (2 falls)
১৬) Paddle Boat – 150 টাকা (30 minutes)
১৭) Paint Ball – 50 টাকা (5 balls)
১৮) Remote Car – 50 টাকা ( 15 minutes)
১৮) Water Cycling – 150 টাকা (20 minutes)
১৯) Water Zorbing – 150 টাকা (10 minutes)
২০) Cruise –150 টাকা (40 minutes)
২১) Floating Pontoon – 100 টাকা One round of lake (about 30 minutes)
২২) Gaming Zone – 50 টাকা (30 minutes)
২৩) High Speed Boat –100 টাকা One round of lake (about 30 minutes)
২৪) Kayaking – 150 টাকা (30 minutes)
২৫) Laser Bumpi Boat – 150 টাকা (20 minutes)
২৬) Mickey Mouse – 20 টাকা (20 minutes)
২৭) Roller Skating –150 টাকা (20 minutes)
২৮) Hover Board Ride -150 (20 minutes)
আরো অনেক কিছু ……
* ইকো পার্কের বাইরে ৪নং গেটের কাছে দোতালা বাসের রাইড হয়। সারাদিনে বেশ কয়েকবার সারা ইকো পার্কের চারিদকে ঘোরানো হয়। দোতালা বাসে চাপার মজা নিতে চাইলে এই রাইড করতে পারেন।
= খাবার রেস্টুরেন্ট ও পানীয় জল =
ইকো এর ওয়েব সাইডের লিখিত নির্দেশ অনুসারে বাইরের থেকে কোনও খাবার নিয়ে পার্কে প্রবেশ নিষিদ্ধ। আপনাকে পার্কের ভিতরে খাবার কিনে খেতে হবে। ৪নং গেটের কাছেই সরকারী ফুড কোর্ট আছে। যেখানে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। দামও সস্তা। এছাড়া পুরো পার্ক জুড়েরই অনেক মাদার ডেয়ারীর ফুড স্টল আছে। সেখানে প্যাটিস, প্রেস্ট্রি, চা, কফি ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। বাম্বু গার্ডেন এর কাছে বনভোজন বলে এক ফুড স্টলে বিরিয়ানী , বার্গার প্রভৃতি বিক্রি হতে দেখেছি।
দাম একটু বেশী হলেও ভালো খাবার পাবেন চিলড্রেন্স পার্কের লাগোয়া Mughul –E- Azam রেস্টুরেন্টে (Mobile: 983657515, 9836575731)। এখানে চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও মোগলাই সব খাবার পাওয়া যায়। পরিবেশ এবং খাবার মান খুবই ভালো।
ইকো পার্কের সব ফুড স্টলে ১লিটার জলের বোতল ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু স্টলে সফট্ ড্রিঙ্কস্ , জুস ও আইস ক্রিমও পাওয়া যায়। ২ নং গেটের কাছে আছে ওয়াটার ATM যেখানে ২ টাকায় ১ লিটার পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন। ২ টাকার কয়েন ফেলে নিজেই জল ভরে নিতে পারবেন।
আমি নিজে কোনও খাবার বাইরে থেকে ভিতরে নিয়ে যাইনি। কিন্তু যত বারই গেছি দেখেছি প্রচুর লোক বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে ইকো পার্কের মধ্যে একসাথে বসে খাবার বার করে খাচ্ছেন বা পিকনিক করছেন। তাই খাবার নিয়ে যাবেন, কি যাবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আমার মতে না নিয়ে যায়ই ভালো।
= ফটোগ্রাফি ও ক্যামেরা =
এর আগে যতবার গেছি সাধারণ মোবাইল ফোনে বা ছোট পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরায় ছবি তুলেছি। তখন কোনও অসুবিধা হয়নি। গত সপ্তাহে শেষবার গিয়েছিলাম DSLR ক্যামেরা এবং ট্রাইপড নিয়ে। এই বড় ক্যামেরা দেখে প্রথমেই গেটের গার্ড আটকেছিলো। বললো পারমিশান করাতে হবে। যার অফিস ১ নং গেটের কাছে। কিছুক্ষণ কথা চলার পর একজন অফিসার এলেন। আমাদের দেখে বললেন যেতে পারেন কিন্তু নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি তুললে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি কোনও Commercial বা Pre or Post Wedding Shoot থাকে তাহলে পারমিশান নিতে হবে এবং চার্জ দিতে হবে। তার জন্য নিদিষ্ট ফিও আছে।
আমার যে হেতু কোনও ফি লাগেনি তাই ফি সম্পর্কে জানি না। তবে পার্কে এক গার্ডের কাছে জেনেছিলাম ২০০০ টাকার মত। দ্বীপের মধ্যে যে কটেজ আছে সেখানে এই জাতীয় ছবি তুলতে একদিনের একটি রুমের ভাড়া সহ ১১৫০০ টাকা লাগে। তাই এই ধরনের ছবি তোলার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আগে থেকে পারমিশান নিয়ে যাবেন। যোগাযোগের নাম্বার পোস্টের শেষে দেওয়া আছে।
ইকো পার্ক সম্পর্কে আরো জানতে চান তারা ইকো পার্কের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন অথবা ফোন করতে পারেন নীচের নাম্বারে।
http://ecoparknewtown.com/index.php
ইকো পার্ক ফোন নাম্বার –(033) 2706 4010
তাহলে এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন ইকো পার্ক। শনি, রবি ও ছুটির দিন বেশ ভীড় হয়। এটা মাথায় রাখবেন। ইকো পার্ক কেমন ঘুরলেন জানাবেন কিন্তু।
(সমাপ্ত)
Thank u so much for nice n details description.